জমি রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৩ সংক্রান্ত সম্প্রতি একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নিবন্ধন অধিদপ্তর। এই জমির (দলিল রেজিস্ট্রেশন ফি) নতুন মৌজা ফি ১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে।
জমি রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৩ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সম্পত্তির সর্বনিম্ন বাজারমূল্য নির্ধারণ বিধিমালা-২০১০ (সংশোধিত ২০১২ ও ২০১৫) অনুযায়ী ২০২৩ ও ২০২৪ সালের জন্য প্রস্তুত করা বাজারমূল্য তালিকা ১ জানুয়ারি ২০২৩ থেকে পরবর্তী ২ বছরের জন্য কার্যকর হয়েছে।
তিন পার্বত্য জেলা ছাড়া ৬১ জেলায় নতুন এ মৌজা রেট ১ জানুয়ারি থেকেই কার্যকর হবে। শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সাপ্তাহিক ছুটির দিনে প্রতিটি জেলা রেজিস্ট্রার কার্যালয় থেকে নতুন রেট শিডিউল বহি সাবরেজিস্ট্রারদের কাছে সরবরাহ করা হয়।
সরকারি হিসাবে মৌজাভিত্তিক জমির সর্বনিম্ন গড় বাজারমূল্য ধরে সংশোধিত মৌজা রেট নির্ধারণ করা হয়েছে। অর্থাৎ এই মূল্যের নিচে জমি নিবন্ধন করা যাবে না।
আরো পড়ুন : ২০২২ সালে ব্যাংক পরিচালনা মুনাফায় তালিকার শীর্ষে ইসলামী ব্যাংক
মৌজা রেট তালিকা ২০২৩
সংশোধিত নতুন জমির মৌজা রেটে সরকারি হিসাবে প্রতি অযুতাংশ জমির শ্রেণিভিত্তিক মূল্য সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে। আবার কোথাও বাড়ির চেয়ে ভিটি শ্রেণির দাম বেশি ধরা হয়েছে। খুবই কমসংখ্যক মৌজায় পূর্বের মূল্য অপরিবর্তিত রয়েছে। এর মধ্যে কিছু মৌজার বেশিরভাগ জমি সরকার আগেই অধিগ্রহণ করেছে।

জমি রেজিস্ট্রেশন ফি ২০২৩
রাজধানী ঢাকার বাড্ডা সাবরেজিস্ট্রারের এলাকাধীন জোয়ার সাহারা মৌজায় পূর্বে বাড়ি শ্রেণির জমির অযুতাংশ প্রতি মূল্য ছিল ২৬ হাজার ১৪৯ টাকা, সংশোধিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৪৮০ টাকা।
খিলক্ষেত্র থানায় ডুমনী মৌজায় আগে ছিল ৫ হাজার ৯৯ টাকা, এখন ৬ হাজার ১২০ টাকা, পাতিরায় আগে ৪ হাজার ৩৮০ টাকা, সংশোধিত মূল্য ৪ হাজার ৮৩৭ টাকা, বরুয়ায় আগের দাম ৯ হাজার ৬৭ টাকা, সংশোধিত ৯ হাজার ৭৯৯ টাকা এবং মস্তুলে আগের দাম ১০ হাজার ৩৪৩ টাকা এবং বর্তমানে করা হয়েছে ৩৩ হাজার ৮৪৮ টাকা।
জোয়ার সাহারা মৌজায় বাড়ি শ্রেণির জমির চেয়ে ভিটি শ্রেণির জমির মূল্য বেশি নির্ধারণ করা হয়েছে। বাড়ির শ্রেণির প্রতি অযুতাংশ ২৮ হাজার ৪৮০ টাকা হলেও ভিটি শ্রেণির মূল্য ধরা হয়েছে ৫৩ হাজার ৪৩৮ টাকা।
একইভাবে মস্তুল মৌজায় বাড়ি শ্রেণির জমির প্রতি অযুতাংশের মূল্য ৩৩ হাজার ৮৪৮ টাকা নির্ধারণ করা হলেও ভিটি শ্রেণির জমির দাম ধরা হয়েছে প্রতি অযুতাংশ ৪৭ হাজার ৮৫৯ টাকা।
কবলা দলিল রেজিস্ট্রী খরচ ২০২৩
ব্যবহারকারীদের সুবিধার্তে নিম্নে উদাহরণ দেয়া হলোঃ
ধরা যাক, শ্যামনগর, বাদঘাটা, মৌজায় ১০ শতক জমি বিক্রয় হবে যার মূল্য ৩০০০০০ টাকা।
উক্ত জমি রেজিস্ট্রি খরচ হবে নিম্নরূপঃ
- ১। রেজিস্ট্রেশন ফিঃ ৩,০০,০০০ এর ১% = ৩,০০০ টাকা।
- ২। স্ট্যাম্প শুল্কঃ ৩,০০,০০০ এর ১.৫% = ৪,৫০০ টাকা।
- ৩। স্থানীয় সরকার করঃ ৩,০০,০০০ এর ৩% = ৯,০০০ টাকা।
- ৪। উৎসে করঃ ৩,০০,০০০ এর ১% =৩,০০০ টাকা।
- ৫। ক) হলফনামা স্ট্যাম্পঃ ২০০ টাকা। খ) ই ফিঃ ১০০ টাকা। গ) এন ফিঃ ১৬০ টাকা। ঘ) এনএন ফিঃ ২৪০ টাকা। ঙ) কোর্ট ফিঃ ১০ টাকা।
জমি রেজিস্ট্রেশন ফি কত?
২০২৩ জমি রেজিস্ট্রেশন ফি প্রতি অযুতাংশ জমির শ্রেণিভিত্তিক মূল্য সর্বনিম্ন ১০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়ানো হয়েছে । জমির নতুন মৌজা ফি ১ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখ থেকে কার্যকর হয়েছে।
ঢাকার বাড্ডা সাবরেজিস্ট্রারের এলাকাধীন জমি রেজিস্ট্রেশন ফি কত ?
রাজধানী ঢাকার বাড্ডা সাবরেজিস্ট্রারের এলাকাধীন জোয়ার সাহারা মৌজায় পূর্বে বাড়ি শ্রেণির জমির অযুতাংশ প্রতি মূল্য ছিল ২৬ হাজার ১৪৯ টাকা, সংশোধিত মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৮ হাজার ৪৮০ টাকা।
জমি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য কি কি প্রয়োজন হয় ?
জমি রেজিস্ট্রি করতে বিক্রিত জমির পূর্ণ বিবরণ উল্লেখ থাকতে হবে। দলিলে দাতা-গ্রহীতার পিতা-মাতার নাম, পূর্ণ ঠিকানা এবং সাম্প্রতিক ছবি সংযুক্ত করতে হবে। যিনি জমি বিক্রয় করবেন তার নামে অবশ্যই নামজারী (মিউটেশন) থাকতে হবে (উত্তরাধিকার ছাড়া)।
হেবা করতে কি কি লাগে?
এস রেকর্ড পর্চা, খাজনার রশিদ, সকলের পাসপোর্ট সাইজের ছবি, এন আইডি কার্ডের ফটোকপি। আর হেবা দলিল করলে খরচ অনেক বেশি লাগবে। হেবার ঘোষনা দলিল করতে পারেন। এতে খরচ অল্প এবং দলিল খুবই মজবুত।
জমি রেজিস্ট্রি করার কত দিন পর দলিল পাওয়া যায়?
রেজিস্ট্রেশন আইন, ১৯০৮ এর ধারা ১৭ক (২) অনুসারে, বায়নাপত্র বা বিক্রয় চুক্তি, উক্ত দলিলটি সম্পাদনের তারিখ হতে ৩০ (ত্রিশ) দিনের মধ্যে রেজিস্ট্রির জন্য রেজিস্ট্রি অফিসে দাখিল করা যায়।
কবলা দলিল রেজিস্ট্রী খরচ?
জমি, ফ্লাট বা প্লট ইত্যাদি ক্রয়-বিক্রয়ের দলিলকে সাফ কবালা বা বিক্রয় দলিল বলে। রেজিস্ট্রেশন ফিঃ হস্তান্তরিত সম্পত্তির দলিলে লিখিত মোট মূল্যের ১% টাকা।