বুস্টার ডোজ কি এবং কারা পাবেন : কোভিড: বুস্টার ডোজ বাংলাদেশে রোববার শুরু হচ্ছে, কোন টিকা কাদের দেয়া হবে বিস্তারিত আলোচনা করা হলো ।
বুস্টার ডোজ কি এবং কারা পাবেন
করোনা টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ডোজের পর বুস্টার ডোজ কীভাবে সংক্রমণের বিরুদ্ধে সহায়তা করে, সেটি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান। চলুন জেনে নেওয়া যাক সে সম্পর্কে—
বুস্টার ডোজ কি ?
- বিশ্বব্যাপী করোনার সর্বশেষ ধরন অমিক্রন শনাক্ত হওয়ার আগেই মনে হয়েছিল, সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার বিষয়টি নিশ্চিত করতে বুস্টার ডোজ প্রয়োজন হতে পারে। টিকা নিলে গুরুতর অসুস্থ হওয়া থেকে সেরে ওঠা সম্ভব বলে মনে হচ্ছিল।
নতুন গবেষণা বলছে, ‘আমাদের শরীর যাতে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত না হয়, অ্যান্টিবডির মাধ্যমে তা নিশ্চিত করে টিকা। তবে টিকা নিলেও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অ্যান্টিবডির কার্যকারিতা কমতে থাকে। - গবেষণায় দেখা গেছে, দুই ডোজ টিকা নেওয়ার পর শরীরে যে পরিমাণ অ্যান্টিবডি তৈরি হয়, বুস্টার ডোজ নিলে তৈরি হয় তার চেয়ে অনেক বেশি। এ কারণে গবেষকেরা আশাবাদী যে তৃতীয় ডোজ নিলে ধীরে ধীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা আরও বাড়বে। তবে এ বিষয়ে জোর দিয়ে বলার মতো সময় এখনো আসেনি বলে মনে করছেন তাঁরা।
- এর আগে প্রাথমিক গবেষণাতেও ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল, বুস্টার ডোজ নেওয়া হলে শরীরে অ্যান্টিবডির গুণগত মান বেড়ে যায়, রোগ প্রতিরোধক্ষমতাও বেশি সক্রিয় হয়।
করোনার নতুন নতুন ধরনে কার্যকর হবে এমন টিকা নিয়ে উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠানগুলো কাজ করছে। আগামী বছরের মার্চ নাগাদ নতুন টিকা বাজারে আসতে পারে। কিন্তু বর্তমান টিকাগুলোর মান বাড়ানো হলেও কিছু দুর্বলতা থেকে যেতে পারে। কারণ, ভবিষ্যতে অমিক্রন অন্যভাবে দ্রুত সংক্রমণশীল ভাইরাসে পরিণত হতে পারে।
বুস্টার ডোজ কারা পাবেন ?
শনিবার (১৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মানিকগঞ্জের গড়পাড়ায় শুভ্র সেন্টারে শিক্ষার্থীদের বৃত্তিপ্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বাস্থ্যমন্ত্রী এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, আগামীকাল রোববার মহাখালীর বিপিসিএস শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে ফ্রন্টলাইনারসহ ষাটোর্ধ্ব বয়সীদের দেওয়া হবে বুস্টার ডোজ। প্রথমে ফ্রন্টলাইনারসহ বয়স্করা অগ্রাধিকার পাবে।
পর্যায়ক্রমে দেশের বিভিন্ন স্থানে যারা দুই ডোজ টিকা সম্পন্ন করার ছয় মাস হয়েছে, তাদের দেওয়া হবে। ৬০ লাখ টিকা সরকারের কাছে রয়েছে বলেও জানান তিনি।
বুস্টার ডোজের এ টিকা কার্যক্রম চলমান থাকবে জানিয়ে তিনি আরও বলেন, টিকার কোন অভাব হবে না। ফাইজারের টিকাই আপাতত বুস্টার হিসেবে ব্যবহার করা হবে। কারণ এটিকে ডাব্লিউএইচও অনুমোদন দিয়েছে।
কয়েক লাখ ফাইজারের টিকা আমাদের হাতে আছে। এবং আগামী মাসে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। এর মধ্যে ১১ লাখ টিকা দিয়েছি এবং হাতে আরও ৫ কোটি টিকা আছে।
ওমিক্রন নিয়ে জাহিদ মালেক জানান, সারা বিশ্বে এখন করোনার ওমিক্রন ধরন ছড়াচ্ছে। ওমিক্রন থেকে রেহাই পেতে সব প্রস্তুতি এরই মধ্যে সম্পন্ন করা হয়েছে। বিদেশ থেকে আসা ব্যক্তিদের দেশে প্রবেশের ৪৮ ঘণ্টা আগে করোনা টেস্ট করে আসতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
শের প্রায় সাত কোটি মানুষকে করোনার প্রথম ডোজ টিকা ও প্রায় সাড়ে চার কোটি মানুষকে দ্বিতীয় ডোজ টিকা দেওয়া সম্পন্ন হয়েছে। ইতিমধ্যে ৩০ ভাগ মানুষকে দুই ডোজ করে টিকা দেওয়া সম্ভব হয়েছে।
তিনি বলেন, আগামী মাসে আরও দুই কোটি টিকা আসবে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় কাছ থেকে চার কোটি অর্ডার পাওয়া গেছে। তার কিছু পাওয়া গেছে, আরও তিন কোটি আসবে। এ পর্যন্ত প্রায় ১১ কোটি টিকা দেওয়া হয়েছে বলে জানান মন্ত্রী।