Saturday, June 3, 2023
HomeGlobal Newsগ্যাসের দাম বৃদ্ধির নতুন মূল্য তালিকা ২০২৩: Gas price in Bangladesh 2023

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির নতুন মূল্য তালিকা ২০২৩: Gas price in Bangladesh 2023

Gas price in Bangladesh 2023: গ্যাসের নতুন মূল্য তালিকা ২০২৩ প্রকাশ করেছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ। বিদ্যুতের পর এবার গ্যাসের দাম (Gas price) আরেক দফা বাড়ানো হয়েছে। বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগের উপসচিব শেখ মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে জানানো হয়, ভর্তুকি সমন্বয়ে গ্যাসের নতুন এই মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।

১৮ জানুয়ারি ২০২৩ তারিখে গ্যাসের দাম বৃদ্ধি সংক্রান্ত একটি প্রজ্ঞাপন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ বিভাগ থেকে জারি করা হয়েছে। এর আগে, গত ৯ জানুয়ারি এক অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ গণমাধ্যম জানিয়েছিলেন, বিশ্ববাজারের সঙ্গে দেশে তেল ও গ্যাসের দাম সমন্বয় করা হবে।

Gas price in Bangladesh 2023

গ্যাসের নতুন মূল্য তালিকা ২০২৩: ২০২২ সালের জুনে গ্যাসের মূল্য ২২.৭৮ শতাংশ বৃদ্ধি করে বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন (বিইআরসি)। ওই সময় সার উৎপাদনে ২৫৯ শতাংশ, শিল্পে ১১.৯৬ শতাংশ (বৃহৎ শিল্পে ১১.৯৮ টাকা, মাঝারি শিল্পে ১১.৭৮ টাকা, ক্ষুদ্র ও কুটিরশিল্পে ১০.৭৮ টাকা, চা শিল্পে ১১.৯৩ টাকা), বিদ্যুতে ১২ শতাংশ, ক্যাপটিভে ১৫.৫ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়।

এছাড়া, আবাসিকে এক চুলার দাম ৯৫০ থেকে বাড়িয়ে ৯৯০ টাকা, দুই চুলা ৯৭৫ থেকে বাড়িয়ে ১০৮০ টাকা করা হয়। প্রি-পেইড মিটার ব্যবহারকারী আবাসিক গ্রাহকদের ইউনিটপ্রতি দর ১২.৬০ থেকে বাড়িয়ে ১৮ টাকা, সার উৎপাদনে ঘনমিটার ৪.৪৫ থেকে বাড়িয়ে ১৬ টাকা করা হয়েছে।

সূত্রে জানা যায়, দিনে এখন গ্যাসের মোট চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। গড়ে সরবরাহ করা হয় ২৬৬ কোটি ঘনফুট। প্রতিদিন ৩১০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে শিল্প খাতের সংকট মোটামুটি কাটবে। গত জুলাই থেকে দেশে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে।

তখন চড়া দামের কারণে বৈশ্বিক খোলাবাজার (স্পট মার্কেট) থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখনো সরকার খোলাবাজার থেকে গ্যাস কিনছে না। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় গ্যাস আসছে। মোট সরবরাহ আগের চেয়ে কম।

বিস্তারিত দেখুন- গ্যাস,-এলএনজি,-সিএনজি,-এলপিজি-ও-কনডেনসেট

Gas price
Gas price

গ্যাসের দাম বৃদ্ধির নতুন মূল্য তালিকা ২০২৩

এবারও দাম বাড়ানোর যুক্তি হিসেবে সরবরাহ বাড়ানোর আশ্বাস দেওয়া হবে। একই আশ্বাস দিয়ে গত জুনে দাম ২২.৭৮ শতাংশ বাড়ানো হয়েছিল। বিতরণ কম্পানিগুলোর চাপে সাত মাসের ব্যবধানে আবার গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে সরকার।

এবার আবাসিক ও পরিবহন খাত বাদ দিয়ে বাকি সব খাতেই বাড়ানো হচ্ছে গ্যাসের দাম। বিশেষ করে শিল্প গ্যাসের দাম বাড়লে পণ্যের উৎপাদন ব্যয় বাড়বে। পরোক্ষভাবে তা ভোক্তার ওপর এসে পড়বে। কারণ উৎপাদন ব্যয় বাড়লে পণ্যের দামও বাড়বে।

জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগ সূত্র জানায়, গ্যাস মূল্যবৃদ্ধির প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুমোদনের জন্য পাঠানো হয়েছে।

প্রধানমন্ত্রীর সম্মতি পেলে তার গেজেট প্রকাশ করা হবে। এবার সরকার বিশেষ করে শিল্প ও বাণিজ্যিক খাতে গ্যাসের দাম বাড়ানোর উদ্যোগ নিয়েছে। গ্যাসের দাম কত বাড়বে তা এখন পর্যন্ত নিশ্চিত করা হয়নি। তবে খাতভেদে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বাড়তে পারে বলেও জানায় সংশ্লিষ্ট সূত্র।

বিতরণ মাসুল পাঁচ গুণ বাড়াতে চায় তিতাস

গ্যাস বিতরণ কম্পানি তিতাস বিতরণ চার্জ প্রায় পাঁচ গুণ বাড়িয়ে প্রতি ঘনমিটারে ৬৪ পয়সা করতে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগে আবেদন করেছে। বর্তমানে তিতাসের বিতরণ মাসুল প্রতি ঘনমিটারে ১৩ পয়সা। তিতাস বলছে, কেটে রাখা উৎস করের চেয়ে বিতরণ মাসুল কম হওয়ায় তাদের আর্থিক সামর্থ্য কমছে; যদিও গ্যাস বিক্রি করে লাভ করছে তিতাস।

এ ধরনের আবেদন আগে বিইআরসিতে করত গ্যাস বিতরণ কম্পানিগুলো। এখন আইন সংশোধন করার কারণে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিভাগের কাছে প্রস্তাব দিয়েছে তারা।

দেশে দিনে এখন গ্যাসের মোট চাহিদা ৩৮০ কোটি ঘনফুট। গড়ে সরবরাহ করা হয় ২৬৬ কোটি ঘনফুট। প্রতিদিন ৩১০ কোটি ঘনফুট পর্যন্ত সরবরাহ নিশ্চিত করা গেলে শিল্প খাতের সংকট মোটামুটি কাটবে। গত জুলাই থেকে দেশে গ্যাসের সংকট তীব্র আকার ধারণ করে।

তখন চড়া দামের কারণে বৈশ্বিক খোলাবাজার (স্পট মার্কেট) থেকে গ্যাস কেনা বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। এখনো সরকার খোলাবাজার থেকে গ্যাস কিনছে না। দীর্ঘমেয়াদি চুক্তির আওতায় গ্যাস আসছে। মোট সরবরাহ আগের চেয়ে কম।

গ্যাসের দাম কতটা বাড়বে?

গ্যাসের দাম কতটা বাড়বে, তা এখনো চূড়ান্ত হয়নি। তবে জ্বালানি মন্ত্রণালয় সূত্র বলছে, খাতভেদে বাড়ানোর হার ৫০ থেকে ১০০ শতাংশ হতে পারে। শিল্পে ব্যবহৃত প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম ২৫ টাকা পর্যন্ত দিতে রাজি শিল্পমালিকেরা।

এখন কারখানার নিজস্ব বিদ্যুৎকেন্দ্রের (ক্যাপটিভ) জন্য ইউনিটপ্রতি গ্যাসের দাম ১৬ টাকা। এটা ২৫ টাকা করা হলে মূল্যবৃদ্ধির হার দাঁড়ায় ৫৬ শতাংশ। বৃহৎ শিল্পে প্রতি ইউনিট গ্যাসের দাম এখন ১১ টাকা ৯৮ পয়সা। এটি বাড়িয়ে দ্বিগুণের কাছাকাছি করা হতে পারে। বাণিজ্যিক খাতেও বাড়ানো হবে গ্যাসের দাম।

বিদ্যুতের দামও বাড়তে পারে

বিদ্যুতের দামও বাড়তে পারে
বিদ্যুতের দামও বাড়তে পারে

সরকারি-বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রের জন্য প্রতি ইউনিট গ্যাসের বর্তমান দাম ৫ টাকা ২ পয়সা। সেটা দ্বিগুণ করার চিন্তা আছে সরকারের। এতে বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ বেড়ে যাবে। ফলে বিদ্যুতের দামও বাড়ানোর প্রয়োজন হতে পারে। এর আগে গত নভেম্বরে পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম প্রায় ২০ শতাংশ বাড়ানো হয়। ১২ জানুয়ারি নির্বাহী আদেশে খুচরায় বিদ্যুতের দাম ৫ শতাংশ বাড়িয়েছে সরকার।

বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুজন কর্মকর্তা প্রথম আলোকে বলেন, পাইকারিতে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর পরও লোকসান দিচ্ছে পিডিবি।

সরকার এ বছর বিদ্যুৎ খাতে ১৭ হাজার কোটি টাকা ভর্তুকি বরাদ্দ রেখেছে। বর্তমান দামে কয়লা, তেলসহ জ্বালানি কিনতে হলে ঘাটতি দাঁড়াতে পারে ৪০ হাজার কোটি টাকা। নতুন করে গ্যাসের দাম বাড়লে ঘাটতি আরও বেড়ে যাবে। তাই আবার বাড়তে পারে বিদ্যুতের দাম।

সিএনজি গ্যাসের দাম ২০২৩

সিএনজি গ্যাসের দাম প্রতি ঘনমিটার ৪৩ টাকা এবং বিদ্যুৎ ও সার কারখানার জন্য চার টাকা ৪৫ পয়সা। বাণিজ্যিক খাতে প্রতি ঘনমিটার ২৩ টাকা, নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় বিদ্যুৎ উৎপাদন ক্যাপটিভ খাতে ১৩ টাকা ৮৫ পয়সা, শিল্প ও চা বাগানে ১০ টাকা ৭০ পয়সা, ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্পে ১৭ টাকা ৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়।

এল পি জি গ্যাসের দাম ২০২৩

মূল্যবৃদ্ধির ঘোষণা দেন বিইআরসির চেয়ারম্যান মো. আবদুল জলিল। সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১২ কেজির প্রতিটি সিলিন্ডারের দাম ৫১ টাকা বাড়িয়ে নতুন দাম নির্ধারণ করা হয়েছে ১২৫১ টাকা। প্রতি কেজি এলপিজির খুচরা দাম ১০২ টাকা ৭০ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে।

সে অনুযায়ী ৫.৫ কেজি, ১২ কেজি, সাড়ে ১২ কেজি, ১৫, ১৬, ১৮ কেজি, ২০, ২৫, ৩০, ৩৫ কেজি এবং ৪৫ কেজি ওজনের সিলিন্ডারগুলোর দাম ঠিক করা হবে। অন্যদিকে জানুয়ারি মাসের জন্য অটোগ্যাসের দাম লিটারপ্রতি ৫৭ টাকা ৪১ পয়সা নির্ধারণ করেছে কমিশন, যা গত মাসে ছিল ৬০ টাকা ৪১ পয়সা।

বিইআরসি জানিয়েছে, ডিসেম্বর মাসের জন্য সৌদি আরামকোর প্রোপেন ও বিউটেনের ঘোষিত সৌদি সিপি (কন্ট্রাক্ট প্রাইস) যথাক্রমে প্রতি মেট্রিক টন ৬৫০ মার্কিন ডলার এবং ৬৫০ মার্কিন ডলার ছিল। জানুয়ারি মাসে যা কমে যথাক্রমে ৫৯০ এবং ৬০৯ ডলার হয়েছে।

RELATED ARTICLES
- Advertisment -

Most Popular

Recent Comments